কাঁচা কলার উপকারিতা

কাঁচা কলার উপকারিতা

কাঁচা কলার উপকারিতা
কাঁচা কলার উপকারিতা

ফারহানা জেরিন: ডাঃ বিদ্যা গুপ্তা বলেন,কাঁচা কলায় ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল ও চুল লম্বা করতে এটি কার্যকরী।ভিটামিন বি-৬ কলায় পাওয়া যায়,যা বিপাক এবং এনজাইমেটিক কার্যকলাপে সাহায্য করে।

পাকা কলা ঔষধি গুণে ভরপুর কিন্তু কাঁচা কলায় তার চেয়েও বেশি ঔষধি গুণ রয়েছে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজন কমাতে এবং ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য রোগ সারাতেও কাঁচা কলা বেশ কার্যকর।চুল লম্বা ও ত্বক উজ্জ্বল করার মতো বিশেষ গুণও রয়েছে কাঁচা কলার।

কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র নিয়ামতপুরের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিজ্ঞানী ডাঃ বিদ্যা গুপ্তা জানান কলায় আয়রন,ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম,থায়ামিন,রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন,ফলিক এসিড, ভিটামিন এ,বি,সি,বি৬-এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।ভিটামিন সি,আয়রন, স্টার্চ,ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো গুণাগুণও কাঁচা কলায় পাওয়া যায়।যার কারণে এটি আমাদের সুস্থ রাখতে সহায়ক।সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার কাঁচা কলা খেতে হবে।এতে প্রিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় যা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে ওজনও কমানো যায়।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্যানেসিয়া – ডক্টর বিদ্যা গুপ্তা বলেন,কাঁচা কলায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।কাঁচা কলা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।শুধু তাই নয়,ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা কলা কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়।

কাঁচা কলা রক্তশূন্যতা সারাবে – ডাঃ বিদ্যা গুপ্তা জানান কাঁচা কলায় আয়রন,স্টার্চ, ফসফরাস এবং জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।যা শরীরে রক্ত ​​বাড়াতে সাহায্য করে।রক্তের অভাব হতে দেবে না।মহিলাদের রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করে কলা।

এভাবে খান কাঁচা কলা – ডাঃ বিদ্যা গুপ্তা জানান কাঁচা কলা দিয়ে ভর্তা বানানো যায়, চিপস বা পরোটাও বানানো যায়।যেগুলো খুবই পুষ্টিকর।কাঁচা কলা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার সবজি হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply